ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

কোনো রোগীই যেন চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে না যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

হেলথ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ২৯ জুন ২০২২  

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক

চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য কোনো রোগীই যেন দেশের বাইরে না যায় তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেজন্য দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীরা যাতে ভালো সেবা পায় তা নিশ্চিতের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জুন) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী। এদিন ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার’ শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো-ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা)।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশের স্বাস্থ্যখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে দেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। স্বাস্থ্যের উন্নয়ন কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নও হচ্ছে। ভ্যাকসিনে আমরা উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। আমরা শিশু মৃত্যু হার কমিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘দেশে স্বাস্থ্যসেবা খাতে আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ হয়েছে। করোনায় কেউই দেশের বাইরে যেতে পারেনি। আমরাই তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেশের সর্ববৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট করেছি। আটটি বিভাগে আলাদা বার্ন ইউনিট করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পাঁচটি বিভাগে কাজ শুরু হয়েছে। সব বিভাগে ক্যানসার, হৃদরোগসহ আটটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করেছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কালাজ্বর, কলেরা, ডায়রিয়া, সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এক সময় গ্রামের পর গ্রাম মানুষ মারা যেত। আমরা অনেক কাজ করেছি। বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় গুরুত্বারোপ করেছেন। গবেষণার মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে আগে বাইপাস সার্জারি হতো না। এখন অহরহ হচ্ছে। ট্রান্সপ্লান্ট হতো না, এখন হচ্ছে। আগে আমরা ওষুধ আমদানি করতাম, এখন রফতানি করি। ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা আমরা হাতে নিয়েছি। এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে গোপালগঞ্জে জায়গা নিয়েছি। সেখানেই সকল ভ্যাকসিন উৎপাদন করব।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আরও এগিয়ে যাক। অর্থসহ যত সহযোগিতা দরকার, সব আমরা দেব। বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল রেডি হয়ে আছে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে আমরা উদ্বোধন করব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। এটি দেশের সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল হবে আশা করি।’

শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা থেকে সুরক্ষায় শিগগিরই ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিছুদিন আগেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন ছিল না। এখন অনুমোদন পেয়েছি। শিশুদের জন্য উপযোগী ভ্যাকসিনও আমাদের হাতে এসেছে। শিগগিরই তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখ। তাদের জন্ম-সনদ দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে ভ্যাকসিনের নিবন্ধন করতে হবে। যারা এখনো নিবন্ধন করেনি তাদের অভিভাবকদের অনুরোধ করব, দ্রুত নিবন্ধন করুন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন- শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু প্রমুখ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়