ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘আলোর ফাঁদ’

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ১৩ মার্চ ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিভিন্ন ফসলি জমিতে ক্ষতিকর ও উপকারী পোকামাকড় নির্ণয়ের জন্য কৃষি বিভাগের সহায়তায় কৃষকের জমিতে ‘আলোর ফাঁদ’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

গতকাল রোববার রাতে উপজেলার শিমুলকান্দি, কালিকাপ্রসাদ, গজারিয়া, সাদেকপুরসহ সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ব্লকে রোপা আমনের জমিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ফসলি জমিতে অনিয়মিত ও মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে শত্রু পোকার পাশাপাশি মিত্র পোকাও ধ্বংস হচ্ছে। এতে ফসলি জমির পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। যা অদূর ভবিষ্যতে কৃষিক্ষেত্রের জন্য একটি বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এ কারণেই ফসলি জমিতে পোকা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আলোর ফাঁদের গুরুত্ব অশেষ। কেবল প্রচলিত ধারণার ওপর নির্ভর করে কীটনাশকের ব্যবহার থেকে কৃষককে দূরে রাখতে এ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে।

ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম জানান, আলো ফাঁদের মাধ্যমে ধানের জমিতে বর্তমানে কী কী ক্ষতিকর ও উপকারী পোকামাকড় রয়েছে তা শনাক্ত করা হয়। পরে ক্ষতিকারক পোকা দমনে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয়ের পর জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস। ফলে কৃষকদের উৎপাদন খরচ এবং অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার কমবে। আর বিষমুক্ত ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়