ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ: মোশতাক থেকে জিয়া, রক্ত লেগেছে খালেদার হাতেও

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ৫ জুলাই ২০২২  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

থমকে যাওয়া সময়ের মতো সেদিন থমকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। নেমে এসেছিল ঘোর অন্ধকার। স্বাধীনতার উদিত সূর্য নিমিষেই লুকিয়ে গিয়েছিল কালো মেঘের আড়ালে। দিনটি ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে প্রতিক্রিয়াশীল একটি চক্র। পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে খন্দকার মোশতাককে দিয়ে নির্মম এই হত্যাকাণ্ড ঘটান মেজর জিয়া। আর সেই হত্যার দায় বর্তায় খালেদা জিয়ার ওপরও।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের পর বিচারের পথ বন্ধ করতে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মূল কথা ছিল- ৭৫’র ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িত কারো বিরুদ্ধে কোন আদালতে মামলা করা যাবে না।

দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করতে কুখ্যাত এই অধ্যাদেশকে ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই আইনে পরিণত করেন ‘ঠান্ডা মাথার খুনি’ জিয়াউর রহমান। সংবিধানকে করেন কলুষিত। শাস্তির বিপরীতে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেন তিনি।

এরপর সময় বদলেছে, ক্ষমতার পট পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু অপরাধীচক্রের পালাবদল হয়নি। জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়া সরকার গঠনের পরও ওই কুখ্যাত ইনডেমনিটি বাতিল করেননি। নেননি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ। বরং খুনিদের বারংবার পুরস্কৃত করেছেন এই অভিশপ্ত নারী।

এভাবেই মোশতাক থেকে শুরু করে জিয়া এবং এরই পথ ধরে খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িয়েছেন নিজের নাম।

তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতের ছোঁয়ায় মুছে গেছে কলঙ্ক। বিচার পেয়েছে স্বাধীন সোনার বাংলা। হাইকোর্টের রায়ে সংবিধান থেকে বাতিল করা হয়েছে বিতর্কিত পঞ্চম সংশোধনী।

আদালতের রায়ে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। ৫ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। একজন পলাতক অবস্থায় মারা গিয়েছেন। বাকি ৪জন এখনও পালিয়ে আছেন। তবে খুলে গেছে বিচারহীনতার রুদ্ধ দ্বার।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়