‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ নিশ্চিতে ‘স্বপ্নযাত্রা’ অ্যাম্বুলেন্স
নিউজ ডেস্ক
রায়পুরে প্রত্যন্ত গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দেওয়া হচ্ছে ‘স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্স’
প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়নে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রত্যন্ত গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দেওয়া হচ্ছে ‘স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্স’।
কিলোমিটারে মাত্র ২০ টাকা ভাড়া তারা এ সেবা নিচ্ছেন। গত দুই মাসে ‘স্বপ্নযাত্রা’র অ্যাম্বুলেন্স জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায় ২০০ রোগীকে অল্প ভাড়ায় বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছানো হয়। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ও জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ‘স্বপ্নযাত্রা’ নামের অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
বুধবার বিকেলে রায়পুর জনকল্যাণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপজেলার ১, ৯ ও ১০ নম্বর ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স বুঝিয়ে দেন ডিসি মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর ২ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
যে ভাবে শুরু স্বপ্নযাত্রার: ডিসি মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জাপান, কুরিয়াসহ কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করেন কয়েক বছর আগে। তিনি জাপানে দেখেছেন, কেউ বাসায় অসুস্থ হলে একটি নম্বরে ফোন করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স চলে আসে ওই বাসায়। দ্রুত ওই রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় অ্যাম্বুলেন্স।
লক্ষ্মীপুরে এসে তিনি দেখেছেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রসূতি মায়ের প্রসব ব্যথা শুরু হলে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায় না। সময় মতো হাসপাতালে নিতে না পারলে মা-সন্তান দুজনেরই মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকে টাকার অভাবে অ্যাম্বুলেন্স ডাকার সাহস পায় না। এতে অনেকের হাসপাতালে যাওয়া সম্ভব হয় না। এজন্য মৃত্যুর হারও অনেক বেড়ে যায়।
এছাড়াও করোনা মহামারি শুরু হওয়ায় গ্রামের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হন। গ্রামের অন্য কোনো যানবাহন, এমনকি ভাড়ায় চালিত অ্যাম্বুলেন্সও করোনা রোগী পরিবহন করতে রাজি হয় না। এতে অনেক পরিবারের লোজন সমস্যায় পড়েন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে শুরু করা হয় ‘স্বপ্নযাত্রা’র কার্যক্রম। এখন জেলার ৬০টি ইউনিয়নে ১২টি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে এ সেবা কার্যক্রম চলছে। আরো ৫টি অ্যাম্বুলেন্স কেনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলো জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নিজস্ব তহবিল থেকে কেনা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২৪ ঘণ্টায় সদর জেলাসহ পাঁচটি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা দিয়ে চলেছে অ্যাম্বুলেন্সগুলো।
অ্যাপসের নাম স্বপ্নযাত্রা: অ্যাপসের মাধ্যমে ঘরের পৌঁছে যাচ্ছে ‘স্বপ্নযাত্রা’র অ্যাম্বুলেন্স। গুগল প্লে স্টোর থেকে স্বপ্নযাত্রা নামের একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে এই সেবার বিস্তারিত তথ্য জানা ও সেবা পাওয়া যাবে। এ অ্যাপসটি বানাতে জেলা প্রশাসনের খচর হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। অনলাইন এ অ্যাপের মাধ্যমে কল করলে মুমূর্ষু রোগীদের যথাসময়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়াসহ স্বাস্থ্য সহায়তা দিচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সগুলো।
রায়পুরের ইউএনও অঞ্জন দাশ জানান, ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রায়পুরের ১০টি ইউনিয়নে এ অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নিজস্ব অর্থায়নে চলছে এ কার্যক্রম। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ অ্যাম্বুলেন্সগুলো তত্ত্বাবধান করবে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ২০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে, যেখানে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের থেকে কয়েক গুন কম। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে হাট-বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এ সেবা মিলছে। সহজে এ সেবা পেয়ে খুশি এলাকাবাসী। স্বাস্থ্যসেবা আমাদের ডিসির এক অনন্য উদাহরণ।
- শেরপুরে প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষ করে সফলতা
- ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কেঁচো সার
- ৩৫৮ কোটি টাকায় হবে শেরপুর-ময়মনসিংহ সড়কের উন্নয়ন
- ঈদের আগেই উদ্বোধন হবে ঝালকাঠির কচুয়া-বেতাগী ফেরি
- বড়শিতে ধরা পড়ল ৩০ কেজির কাতল
- নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলাকে “ক” শ্রেনীর ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত করার লক্ষ্যে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত
- শেরপুরে ‘কালো ধান’ চাষ করে সফল উদ্যোক্তারা
- শেরপুরে একই পরিবারের ৭ জনই গ্রহণ করেছেন ইসলাম ধর্ম
- ময়মনসিংহ সেরা সাংবাদিক সম্মাননা পেলেন মোঃ রইছ উদ্দিন
- দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষম ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার হাতে তৈরি লাল চিনি