ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আগামী ২২ মার্চ কিশোরগঞ্জে আশ্রয়ণের ঘর পাচ্ছেন আরও ১১৫ জন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪০, ২০ মার্চ ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২২ মার্চ কিশোরগঞ্জের সদর, অষ্টগ্রাম, ভৈরব ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় ভূমিহীনদের মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১১৫টি ঘর বিতরণ করা হবে। আর এর মাধ্যমে ওই দিন চারটি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

গতকাল রোববার (১৯ মার্চ) বিকেলে কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান।

গত বছর জেলার কটিয়াদী উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। এ নিয়ে জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলা ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা হতে চলেছে। 

সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক জানান, এ চারটি উপজেলায় ৫৬০টি পরিবার ভূমি ও গৃহহীন রয়েছেন। ইতিমধ্যে ৪৪৫টি পরিবারে পুনর্বাসন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১১৫টি পরিবারকে ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ঘর বিতরণ করবেন। 

ডিসি জানান, ওইদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সদরে ১৭টি, পাকুন্দিয়ায় ২২টি, ভৈরবে ৪৩টি ও অষ্টগ্রামে ৩৩টি ঘর বিতরণ করবেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ ঘরের কবুলিয়ত দলিল, নামজারি, গৃহ প্রদানের সনদ, ডিসিআর কপি ও  ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, জেলার ১৩টি উপজেলায় দুই হাজার ৭৫৮টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ৯২০টি পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় ব্যারাক হাউজ নির্মাণের মাধ্যমে ইটনা উপজেলার আড়ালিয়া ও মজলিশপুর আশ্রায়ণ প্রকল্পে ২৭০টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দ পাওয়া ৫৬৩টি ঘরের মধ্যে ২৯১টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর অবশিষ্ট ২৭২টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। 

জেলা প্রশাসক আরও জানান, মুজিববর্ষে উপলক্ষে জেলায় নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রিতদের পরিবারে সচ্ছলতা আনতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পে এবছর এক হাজার ৪৩৯ কেজি শাকসবজি উৎপাদিত হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় আট লাখ টাকা। ফল উৎপাদিত হয়েছে ৯ হাজার ৩৫০ কেজি। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা। আলুসহ অন্য ফসল উৎপাদিত হয়েছে তিন হাজার ৩২০ কেজি। যার বাজার মূল্য দেড় লাখ টাকার বেশি। এছাড়া ৪১২টি গরু ও মহিষ, ৪০২টি ছাগল ও ভেড়া, ৯ হাজার ৮৯৪টি হাঁস-মুরগি এবং ১৩ হাজার ৭৯০কেজি মাছ উৎপাদিত হয়েছে।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়