সবার অংশগ্রহণে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব : এলজিআরডিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ০৮:১৫ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৩ মঙ্গলবার

সবার অংশগ্রহণে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব : এলজিআরডিমন্ত্রী

সবার অংশগ্রহণে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব : এলজিআরডিমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা যার যার দায়িত্ব পালন করলে দেশ ও সমাজ এগিয়ে যাবে। দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করলে জাতির পিতার সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আমরা একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করতে পারবো।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ‘ঢাকা নগরীর সবুজ এলাকা এবং এর রাজনৈতিক অর্থনীতি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পিত ঢাকা শহরের জন্য সবার দায়িত্ববোধ ও সচেতনতা জরুরি। সেজন্য নীতিনির্ধারক, নগর পরিকল্পনাবিদসহ সমাজের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। সবাইকে বসবাসযোগ্য ঢাকার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।

ঢাকা ডিটেইলস এরিয়া প্ল্যান বা ড্যাপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে সর্বোচ্চ পরিশ্রম ও আন্তরিকতা দিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দায়িত্ব পালন করছি। ড্যাপ প্রণয়নের ক্ষেত্রে বসবাসের স্থান, খোলা জায়গা, খেলার মাঠ, সবুজ ও জলজ এলাকা থেকে শুরু করে অন্যান্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভালো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সবার এগিয়ে আসতে হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় জনসংখ্যা কত হবে, তাদের জন্য কী কী নাগরিক সুবিধা প্রয়োজন, তা আমাদের চিন্তা করতে হবে। যেখানে পাঁচ হাজার লোকের নাগরিক সুবিধার ব্যবস্থা করা আছে সেখানে যদি ২০ হাজার লোক বসবাস করে তাহলে কিভাবে বসবাসযোগ্যতা বজায় থাকবে? এ বিষয়গুলো আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।

রাজধানীর খালগুলো ওয়াসা থেকে সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীবাসী আগের তুলনায় অনেক স্বস্তিতে আছেন।

তিনি আরও বলেন, ঢাকাকে পৃথিবীর আর কোনো শহরের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ নেই। ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল শহর হওয়ায় এর ওপর চাপ কমাতে হবে। প্রতিদিন যে পরিমাণ মানুষ ঢাকায় ঢুকছে তাতে খোলা জায়গা, খেলার মাঠ বা সবুজ এলাকা রক্ষা করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।