অপু ও নিরবের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা বললেন মেহজাবীন
সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক
সবার আগে সব খবর
প্রকাশিত : ০৪:৪৬ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৩ বুধবার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার অদূরে বিক্রমপুরের একটি অনুষ্ঠানে গত ১১ মার্চ সন্ধ্যায় দারুণ নাচছিলেন অপু বিশ্বাস ও নিরব। এর মাঝে নাচের মুদ্রার দাবিতে অপু বিশ্বাসকে কোলে তুলতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন দুজনে।
দ্রুতই দুজনে সামলে নেন। উপস্থিত দর্শকদের অনুরোধ করেন, যেন ঘটনাটির ছবি বা ভিডিও প্রকাশ না করেন। কারণ, বিষয়টি দৃষ্টিকটু। কিন্তু দর্শকরা প্রিয় তারকাদের কথা রাখলেন না। ১২ মার্চ থেকে সেই ভিডিও ভাইরাল সোশাল হ্যান্ডেলে হয়ে খবরে।
এই ঘটনার রেশ গত সোমবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা নাগাদ দমেনি। সাধারণ থেকে তারকারাও অনেকে এই ঘটনা ধরে মজা নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এরমধ্যে সবাইকে চমকে দিয়ে এই ‘পড়ে যাওয়া’র গল্পে নিজেকে যুক্ত করলেন ছোট পর্দার বড় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।
তবে স্রোতের সঙ্গে নয়, তার এই অংশগ্রহণ বিপরীতে। মেহজাবীন তার সোশাল হ্যান্ডেলে বিভিন্ন সময়ে নিজের পড়ে যাওয়ার বিব্রতকর চারটি ঘটনা উল্লেখ করেন। শুধু উল্লেখই নয়, চারটি ঘটনারই বিস্তারিত শেয়ার করেন।
তিনি বলেন, ‘জীবনে বেশ কয়েকবার পড়ে গিয়েছিলাম। বেশ কয়েকটি ঘটনা মনে আছে এখনও।’
সেগুলো এমন—
১. ক্লাস সিক্সে ক্লাসরুমে চেয়ার দিয়ে দোল খাওয়ার চেষ্টা করতে করতে পড়ে গিয়েছিলাম। ৪০-৫০ জন ক্লাসমেটসহ টিচার, সবাই হা করে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে।
২. একটি ফাইভ স্টার হোটেলের রেস্টুরেন্টে বুফে খাচ্ছিলাম। আশপাশে কম করে হলেও ২০০ লোকজন। বুফে টেবিল থেকে খাবার নিয়ে নিজের টেবিলে ফেরার পথে খাবারসহ আমি ফ্লোরে।
৩. আরেকটি ছিল ভয়ংকর ঘটনা। শুটিং করছিলাম। এক হাতে মোবাইল ফোন, আরেক হাতে কফি। সিঁড়ি থেকে নামছিলাম ফোনে মেসেজ টাইপ করতে করতে। করলাম স্লিপ। পড়ে গেলাম, কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা পেলাম। গরম কফি চাইলে অন্য কোথাও পড়তে পারতো, কিন্তু পড়লো আমার শরীরে। সেদিনের পর থেকে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফোনে কিছু লিখবো না, কসম কাটলাম।
৪. আর সবচেয়ে বেশি যেটায় পড়ি সেটা হলো ‘ঝামেলা’। প্রায় প্রতিদিনই পড়ি।
পড়ে যাওয়ার চারটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েই থামেননি বুদ্ধিমতী মেহজাবীন চৌধুরী। তিনি তার ভক্ত বা সমালোচকদের ছুড়ে দেন আরেকটি চ্যালেঞ্জ। বলেন, ‘আপনারা এবার মনে করার চেষ্টা করুন। জীবনে কতবার পড়ে গিয়েছিলেন। হয়তো অনেক ঘটনাই মনে পড়বে।’
মেহজাবীনের এমন পড়ে যাওয়ার গল্প শেয়ারের একটাই কারণ, অন্যের ‘পড়ে যাওয়া’ নিয়ে মজা করা মোটেই সুন্দর বিষয় নয়। বরং, তখন নিজের পড়ে যাওয়ার ঘটনাগুলো মনে করাই উত্তম।