অঙ্গদানকারী সারাহ ইসলামের মৃত্যু নেইনিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ০৬:৪৮ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ রোববার

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সারাহ ইসলাম অঙ্গদান করে চারজনের মাঝে বেঁচে আছেন। বাংলাদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী সারাহ’র মৃত্যু নেই।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ রোববার সারা ইসলামের দুটি কর্নিয়া বসানো রোগী শিক্ষিকা ফেরদৌস আক্তার (৫৬) ও মোহাম্মদ সুজনের (২৩) চোখ পরীক্ষা করেন।  

তিনি বলেন, সারাহ যে দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন তা সকলেই অনুসরণ করতে পারি। তার অঙ্গদানের মাধ্যমে ২ জন কিডনী ফেলিউর রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছে। তাদের কিডনীর কার্যকারিতা শুরু হয়েছে। অন্য ২ জন রোগী যাদের চোখে সারা ইসলামের কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তারা দেখতে পাচ্ছেন।

উপাচার্য বলেন, সারাহ ইসলামের মা শবনম সুলতানাকে আমাদের ক্যাডাভেরিক কার্যক্রমের ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হবে। দেশে ক্যাডাভেরিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা গেলে রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যাবে এবং অনেক অর্থের সাশ্রয় হবে। একই সঙ্গে অনেক রোগী যারা জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছেন তারা নতুন জীবন লাভ করবেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর ও রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, কমিউনিটি অফথালমোলজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শীষ রহমান, ইউরোলজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক (সার্জিক্যাল অনকোলজি) ডা. মো রাসেল, চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজশ্রী দাশ, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে সারাহ ইসলাম ব্রেন ডেথ হবার পরপরই তার দুই কিডনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডাভেরিক সেলের আহ্বায়ক ও রেনাল  ট্রান্সপ্লান্টেশনের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে সংগ্রহ করা হয়। এর একটি কিডনি শামীমা আক্তার নামের এক রোগীর দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন। সারাহ ইসলামের অপর কিডনিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. খুরশিদুল আলমের নেতৃত্বে হাসিনা আক্তার নামের অপর এক রোগীর শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়।