অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অনলাইন ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ১০:১৩ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছিল, তারপর আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে, সেটা অনেকের কাছেই ছিল অবিশ্বাস্য। আওয়ামী লীগবিরোধীরা সদম্ভে বলেওছিল, আওয়ামী লীগ আর কখনো ক্ষমতায় যেতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর খুনিরাও তাদের কেউ বিচার করতে পারবে না বলে দম্ভোক্তি করেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরও বিচার হয়েছে। আর এই অসম্ভবটা সম্ভব করেছেন শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বেশি সময়ের সভাপতি এবং বাংলাদেশের রেকর্ড সময়ের প্রধানমন্ত্রী। পরপর টানা তিন মেয়াদে এবং মোট চারবার প্রধানমন্ত্রী থাকার রেকর্ড কেবল শেখ হাসিনারই আছে। তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তারপর ২০১৪ সালে তৃতীয় বার এবং ২০১৮ সালে চতুর্থ বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। শেখ হাসিনার আগে বাংলাদেশে আর কেউ এত দীর্ঘ সময় সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাননি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে ধারার রাজনীতি শুরু হয়েছিল, সেখান থেকে দেশকে ফেরানো যাবে বলে অনেকেই মনে করতেন না। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার বাইরে রাখার সব ধরনের অপচেষ্টাই বিভিন্ন মহল থেকে হয়েছে। দেশের ভেতরে এবং বাইরে শত্রæতা ছিল। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মধ্যেও সব সময়ই ছদ্মবেশী মতলববাজদের উপস্থিতি ছিল এবং এখনো আছে। সব কিছু সামাল দিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে জিতিয়ে ক্ষমতায় আনার একক কৃতিত্ব শেখ হাসিনার। তিনি রাজনীতির গতিপ্রকৃতি খুব কাছ থেকে দেখেছেন। শত্রæ-মিত্রের চেহারা তার দেখা। তিনি দেখেছেন, ঠকেছেন এবং শিখেছেন।  তাই তাকে যারা হারাতে চেয়েছে, কৌশলে যারা তাকে অতিক্রম করতে চেয়েছে, তাদেরই তিনি হারিয়েছেন, পেছনে ফেলেছেন।

বলা হয়ে থাকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি যাত্রা সম্ভব হয়েছে। রাজনীতি নিয়ে হতাশা, ক্ষোভ এখনো নেই তা বলা যাবে না। ক্ষমতার রাজনীতি থেকে শুদ্ধতা বিদায় নিয়েছে বলে মনে করা হয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলা হলেও দুর্নীতি কমছে না। সুশাসনের অভাব নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তুষ্টি আছে। গণতন্ত্র নিয়েও বিতর্ক, প্রশ্ন আছে। নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। তবে দেশের মানুষের অভাব-দুঃখ যে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে কমেছে, সেটা অস্বীকার করা যাবে না। শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের আগের বাংলাদেশ আর তার শাসনের বাংলাদেশ এক নয়। একসময় বাংলাদেশ ছিল বড় দেশগুলোর করুণানির্ভর। তলাবিহীন ঝুড়ি। খাদ্য ঘাটতি, ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ¡াস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিত্যসঙ্গী ত্রাণ পাওয়ার আশায় হাত পেতে থাকা একটি দেশ। কিন্তু এখন বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশকে অনুসরণ করতে বলার মতো মানুষ এখন অনেক আছেন। শেখ হাসিনাকে অসফল প্রমাণ করার ষড়যন্ত্র কম হয়নি। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে সরকার এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার এক বড় ষড়যন্ত্র অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গেই মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। বিএনপি-জামায়াত শাসনের সময় দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে জঙ্গিবাদী অপশক্তি দেশকে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যার মহড়া দিয়ে মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখাতে পেরেছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার দেশকে জঙ্গিবাদ মুক্ত করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। বেশ কয়েকটি সফল অভিযানের মাধ্যমে জঙ্গিদের গোপন আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়ে তাদের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জঙ্গিদের সংগঠিত হওয়ার কোনো সুযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিচ্ছে না।

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সরকারবিরোধিতার নামে সহিংসতার বিস্তার ঘটিয়ে মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা একাধিকবার করেছে। ২০১৩ সালের মে মাসে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব দমনে সরকার বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সক্ষম হয়েছে। এরপর ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে এবং পরের বছর সরকার পতনের ডাক দিয়ে দেশজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। আগুন সন্ত্রাস ছড়িয়ে ভীতিকর অবস্থা তৈরি করা হয়েছিল। মানুষের মনে তৈরি হয়েছিল আতঙ্ক। সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে কিনা, সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে। গণতন্ত্রের সুযোগের অপব্যবহার করে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথে হেঁটে বিএনপি ও তার সহযোগীরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন রাজনীতিতে খাবি খাচ্ছে। একের পর এক ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বিএনপি নামের দলটিকে এখন অস্তিত্ব সংকটের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে। আর শেখ হাসিনা রাজনৈতিক কৌশল এবং ব্যক্তিগত সাহসিকতা দিয়ে পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে রাখতে পেরেছেন।

শুধু রাজনৈতিকভাবেই দেশকে শেখ হাসিনা সংহত অবস্থানে এনেছেন, তা নয়। অর্থনৈতিকভাবেও বাংলাদেশ এখন শক্ত অবস্থানে আছে। করোনা মহামারির কারণে পৃথিবীব্যাপী বড় সংকট তৈরি হয়েছে। সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। উন্নত-সমৃদ্ধ দেশগুলো করোনায় কাতরাচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাকালেও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে। পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির আগাম অভিযোগ এনে অর্থ সহায়তা না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে যারা বাংলাদেশকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছিল, তারা এখন অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখছে এক নতুন সক্ষম বাংলাদেশকে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে অনেকেই মনে করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস দেখিয়েছেন। পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্নকল্পনা নয়। দৃশ্যমান সত্য। বাংলাদেশ যে পারে, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে গৌরবের সমাচার হয়ে উঠেছে পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতুর পর মেট্রোরেলও আংশিক চলাচল করছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো মেগা প্রকল্পের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ঈশ্বরদীতে ব্যয়বহুল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজও বন্ধ নেই। কক্সবাজারের মাতারবাড়ী এবং পটুয়াখালীর পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালুর কথা ভাবা হচ্ছে। এসব প্রকল্প শেষ হলে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির নতুন সোপানে উন্নীত হবে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মতো কাজগুলো হতে পেরেছে শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও বলিষ্ঠতার কারণেই। শেখ হাসিনার এই এক যুগেই প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সন্দেহ-অবিশ্বাস দূর হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে ঝুলে থাকা ছিটমহল সমস্যার সম্মানজনক নিষ্পত্তি হয়েছে। সমুদ্রসীমার বিরোধ মিটেছে আন্তর্জাতিক আদালতে। কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত হয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে ক্রম অগ্রসরমানতা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে। দিন বদলের সনদ রূপকল্প ২০২১-এর পর ২০২১ থেকে ২১০০ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি নিজে স্বপ্ন দেখেন এবং দেশের মানুষের সামনেও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন তুলে ধরেন। গত ৬ জানুয়ারি সরকারপ্রধান হিসেবে টানা দায়িত্ব পালনের ১৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এ বছরের শেষে অথবা সামনের বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশবাসীকে সতর্ক করে শেখ হাসিনা বলেছেন, কিন্তু এখন থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী, ক্ষমতালোভী, জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী আর পরগাছা গোষ্ঠীর সরব তৎপরতা শুরু হয়েছে। এদের লক্ষ্য ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করা। এরা লুণ্ঠন করা অর্থ দিয়ে দেশ-বিদেশে ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী এবং বিবৃতিজীবী নিয়োগ করেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এরা মিথ্যা এবং ভুয়া তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এদের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবেন না।

গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলো ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেছেন, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এমন কোনো উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না এবং ইন্ধন জোগাবেন না। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বাংলাদেশে এই প্রথম একটি আইন পাস করা হয়েছে। সেই আইনের আওতায় সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিক স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সরকার সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগ জনগণের দল, জনগণের শান্তিতে বিশ্বাসী, জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে আওয়ামী লীগ দেশ গড়ার জাতীয় দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। যদি বিজয়ী না করে, তাহলে আমরা জনগণের কাতারে চলে যাব। তবে যেখানেই থাকি, আমরা জনগণের সেবা করে যাব। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে কেউ যাতে জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে, সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যাতে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষের জানমালের এবং জীবিকার ক্ষতিসাধন করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের দেশ এগিয়েছে অনেক। তবে আরো এগিয়ে নিতে হবে। একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জন আমাদের লক্ষ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পর আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হলো স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নানা অনুষঙ্গ ধারণ করে আমরা তরুণদের প্রশিক্ষিত করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্মেন্ট, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট শিল্প কলকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য, কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে রোবটিকস, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যানো টেকনোলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, জৈব প্রযুক্তি অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। সব ক্ষেত্রে গবেষণার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আসুন, স্মার্ট দেশ গড়ার মাধ্যমে একটি সুখী-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলে আমরা তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি। এ দেশের সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাই।

দুর্নীতি-অনিয়ম, লুটপাটের ঘটনা দেশে ঘটছে না, তা নয়। বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগও বাড়ছে। তবে লুটপাটের কাহিনী কি এই এক যুগে, নাকি এর ধারাবাহিকতা আছে? শেখ হাসিনা সব সময় সব কিছু তার মতো করে করতে পারেন, তাও হয়তো নয়। দুনিয়ার কোনো দেশেই রাজনীতি একটি সরল রেখা ধরে চলে না। সরকার এবং সরকারের বিরোধিতা হলো রাজনীতির চিরায়ত খেলা। দ্ব›দ্ব-বিরোধ রাজনীতির স্বাভাবিক প্রবণতা। যে রাজনীতি বেশি মানুষের উপকার নিশ্চিত করে, সে রাজনীতিই টেকসই হয়। বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে শেখ হাসিনার সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করছেন। তার এই চেষ্টা অসফল হতে পারে না।