দেশে শ্রমঘন ও স্বল্প পুঁজির এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করা প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ০৯:৩৪ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমৃদ্ধ ও টেকসই অর্থনীতির ভিত গড়তে হলে দেশে শ্রমঘন ও স্বল্প পুঁজির এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি করা প্রয়োজন। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারসহ এসএমই উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের তরুণ-যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা ও তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিতে এসএমই খাত ও জাতীয় এসএমই মেলা অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। এভাবেই গড়ে উঠবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ, ইনশাল্লাহ।’ 

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ‘১০ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন দশমবারের মতো ‘১০ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২২’ আয়োজন করতে যাচ্ছে জেনে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে তিনি মেলার আয়োজক, উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সুষ্ঠু বিকাশে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন ব্যবসা-বান্ধব নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা শিল্পনীতি-২০১৬ ও এসএমই নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করেছি। এসডিজি-২০৩০, রূপকল্প-২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী, বিভিন্ন নীতিমালা ও কৌশলপত্রে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে নতুন শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমই মেলা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তৃণমূল পর্যায়ে ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্প বিকাশের ফলে অধিক জনবল শ্রমখাতে নিযুক্ত হচ্ছে এবং নারী উদ্যোক্তা ও কর্মী সংখ্যা বাড়ছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য দেশের এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসএমই খাতকে আরো শক্তিশালী করতে আমাদের সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’  

তিনি বলেন, এসএমই পণ্যের বাজারজাতকরণে এসএমই পণ্য মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই মেলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্যের পরিচিতি ও চাহিদা বাড়াবে। এসএমই খাতে পুরুষের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত প্রশংসনীয় অবদান রাখছে।