কুয়েত পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান অপরিসীম

নিউজ ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ০২:৫৬ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২২ বুধবার

কুয়েত পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান অপরিসীম

কুয়েত পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান অপরিসীম

কুয়েত পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান অপরিসীম। ১৯৯১ সাল থেকে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ইরাকের আক্রমণের পর থেকে কুয়েত রক্ষায় দেশটিতে এখনও গৌরবের সঙ্গে কাজ করছেন পাচঁ হাজারের বেশি বাংলাদেশি সেনা।

দক্ষিণে সৌদি আরব ও উত্তরে ইরাক বেষ্টিত মরুভূমির ১৮ হাজার ৭৮২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের তেল সমৃদ্ধ ধনী দেশ কুয়েত। একসময়কার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি আজ আধুনিকতায় অনন্য। ১৯৬১ সালের ১৯ জুন ‘ব্রিটিশদের নিরাপত্তা দান চুক্তি’ বাতিল হয়ে গেলে কুয়েতের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়। স্বাধীন হওয়ার পরও পাশ্চাত্যের অশোভন দৃষ্টিতে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটি। ১৯৯১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে দেশটি। 

যুদ্ধবিধ্বস্ত কুয়েতের অবকাঠামো পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন বাংলাদেশি সেনারা। উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় কুয়েত রক্ষায় দেশটিতে মোতায়েন করা হয় বাংলাদেশি সেনা। সে সময় ইরাকি সেনারা দেশটির বিভিন্ন স্থানে পুঁতে রেখে যায় অসংখ্য মাইন। কুয়েতকে মাইনমুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মিশর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরিশ্রম, দক্ষতা, সাহস আর নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করায় কুয়েতে সুনাম কুড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।   

কুয়েত ও বাংলাদেশকে কৌশলগত সম্পর্কের অংশীদার উল্লেখ করে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামান জানান, এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য ও ইতিহাসনির্ভর। অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে কার্যক্রম চলাকালে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৮৪ জন সদস্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। বর্তমানে কুয়েত সেনাবাহিনীর অধীন ‘অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠন’ নামে সেনাবাহিনীর ১১টি কন্টিনজেন্ট কাজ করছে দেশটিতে।

এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় গৌরবের বিষয় বলে জানান ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মু. হাসান উজ জামান।

৫১তম বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবসও কুয়েতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা শাখার উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে কুয়েতে নিয়োজিত বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টের প্রশংসা করেন কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ অব স্টাফ (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানপাওয়ার) মেজর জেনারেল খালেদ আলী আল কান্দারী।