যেভাবে শিশুদের করোনা টিকার নিবন্ধন করবেন

অনলাইন ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ০৯:৩০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের আগামী ১১ অক্টোবর থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। তবে ঢাকায় ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের টিকার নিবন্ধন ২৫ আগস্ট থেকেই শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ১০ লাখ শিশু টিকার আওতায় এসেছে। সব মিলিয়ে দেশে ২ কোটি ২৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৭ শিশুকে এ টিকার আওতায় আনা হবে।

রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ‘৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য উঠে আসে।

স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়, বাচ্চাদের জন্য সাড়ে ৪ কোটি ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ২ কোটি ২৬ লাখ টিকা পাওয়া গেছে। অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় স্কুলগুলোতে তা কার্যকর করা হচ্ছে।

তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর মনে করছে, বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেয়া কঠিন। কেননা, তাদের রেজিস্ট্রেশন করা, নিয়ে আসাসহ পুরো প্রক্রিয়া একটু জটিল। তাদের মতে, এই করোনাযুদ্ধে অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ যেহেতু নজির সৃষ্টি করেছে, তাতে এ যুদ্ধেও সফল হওয়া যাবে।

তবে বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। বাচ্চারা বরাবরই ইনজেকশন ভয় পায়। তাদের কোনো উপহারের মাধ্যমে, চকলেটের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করা উচিত বলে মনে করেন অনেকে। 

এই বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ শিশু স্কুলে আছে। তাই স্কুলের মাধ্যমেই শিশুদের টিকা কার্যক্রম চালু হয়েছে। দেশের এই বিপুল জনগোষ্ঠীকে সুস্থ রাখতে ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে স্বাস্থ্যখাতকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টরা।

মূলত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বাচ্চাদের উপযোগী করে ভ্যাকসিন তৈরি করা ও তাদের ভ্যাকসিনের জন্য অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ায় টিকা কার্যক্রম শুরু হতে বিলম্ব হয়েছে।
 
যেভাবে নিবন্ধন করতে হবে

অনলাইনেই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে হবে। তারপর টিকা কার্ড ডাউনলোড করে স্কুলে যেতে হবে। ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের জন্মনিবন্ধন দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে। যারা স্কুল থেকে টিকা সংগ্রহ করবে তাদের প্রত্যেককে নিবন্ধন করতে হবে। এনআইডির মতো করেই সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করে তারপর ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে হবে। যাদের জন্মনিবন্ধন থাকবে না, তাদের হার্ড কপির মাধ্যমে টিকার আওতায় আনা হবে। পরবর্তী সময়ে তারা তাদের তথ্য, সুরক্ষা অ্যাপে আপডেট করে নেবে।