নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি

রাজনীতি ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ০২:২৬ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাকিস্তানেরই আজ্ঞাবহ একজন মুখপাত্র। কাজেই তাদের (পাকিস্তানের) কথার বাইরে কোনো কথা বলার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, বিএনপির যে যা কথাই বলুক নিশ্চয়ই আমরা আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করব। তারা পরাজিত হবে বলেই বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক ধোঁয়া সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে। বিভিন্ন রকম কথা বলে আগামী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবার ষড়যন্ত্র করছে।

সম্প্রতি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রয়াত সংসদ উপনেতা ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহিলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সভায় আমির হোসেন আমু বলেন, আজকে আমরা এমন একটি স্মরণ সভায় উপস্থিত তখন আমাদের সামনে নানামুখী প্রশ্ন এসে গেছে। যা পূর্ববর্তী বক্তারাও বলে গেছেন। তবে এটি কোনো নতুন কথা নয়। তার কারণ বিএনপির জন্মই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা হিসাবে এবং বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই পাকিস্তানের জন্য সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করে এসেছে। সুতরাং আজকে পাকিস্তানপ্রীতি তাদের কাছ থেকে, এটা আমাদের কাছে নতুন কিছু নয় এবং বাংলার মানুষ এটা জানে। বাংলার মানুষ জানে বলেই তারা সবসময় প্রত্যাখাত হয়। এই দেশের মুক্তিযোদ্ধারা আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ এবং এদেশের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল স্বাধীনতার সমস্ত শক্তি আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আছে বলেই তাদের গাত্রদাহ। তাই তারা বেশি করে এই কথাগুলো আনে।

তার কারণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, তারা (বিএনপি) একটি পলিটিক্যাল আইওয়াশের জন্য জামায়াতের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা করে দেখাচ্ছে, যারা এটা বিশ্বাস করে তারা যাতে নষ্ট না হয়। তাই তারা এসব কথা সামনে আনছে। যাতে তাদের ভোটাররা সঠিকভাবে থাকে এবং পাকিস্তানপ্রীতি লোকেরা তাদের সঙ্গে থাকে; এইটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য।

আমু বলেন, ‘তাই বলতে চাই, এই কারণে আমাদের বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই জিনিসটা মোকাবিলা করেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রাম আমরা করে আসছি এই অপশক্তির বিরুদ্ধে, এই স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে।সুতরাং আজকে তারা যে কথাই বলুক নিশ্চয়ই ইনশাআল্লাহ আমরা আগামীতে জয়লাভ করব। তারা জানে তারা পরাজিত হবে বলেই তারা বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে।’

‘এ ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সজাগ সচেতন। এই সভায় আজকে আর বিস্তারিত কথা বললাম না। ভবিষ্যতে যখন রাজনৈতিক সভা হবে আমি পুরোপুরি ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝিয়ে দেব তাদের এই চক্রান্ত এবং চক্রান্তের ফল যে ভালো হবে না।’

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর রাজনৈতিক অবদান ও প্রজ্ঞার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আমির হোসেন আমু বলেন, তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার কারণে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে এই পদটা (সংসদ উপনেতা) এভাবে রাখা যায় না। সংসদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। তারপরও কিন্তু নেত্রী তাকেই আমৃত্যু এই পদে রেখেছেন।কারণ তিনি ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় বিভিন্নভাবে দিয়েছেন।যেভাবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছিলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছিলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করেছেন।

এজন্য সঠিক সময়ে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর স্মরণসভা আয়োজন করার জন্য মহিলা আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আমির হোসেন আমু।

মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে স্মরণসভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি।