`তুই এত রোগা পারবি তো...?` সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল আক্রমণে মুখ খুললেন কাঞ্চন

নিউজ ডেস্ক

সবার আগে সব খবর

প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৪ শুক্রবার

`তুই এত রোগা পারবি তো...?` সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল আক্রমণে মুখ খুললেন কাঞ্চন

`তুই এত রোগা পারবি তো...?` সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল আক্রমণে মুখ খুললেন কাঞ্চন

সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই একঝাঁক নানা মন্তব্য। বিভিন্ন ধরনের মিম, ছবিতে ছেয়ে গিয়েছে চারিদিক। কেউ বলছেন, এই বয়সেও বিয়ে! কারও আবার মতে, অন্যকে ঠকিয়ে সন্তান ফেলে ঘর বাঁধলেন একবারও ভাবলেন না। এমন নানা কথায় এখন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। তবে তাঁদের বিয়ের রিসেপশনের একটি ঘটনা চমকে দিয়েছে সকলকে। বিলাসবহুল আয়োজনে বিয়ে করলেও বড় বড় করে লিখে দিয়েছেন সংবাদ মাধ্যম-ড্রাইভার-ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নট অ্যালাউড। যা দেখে ছিছিক্কার হয়েছে সমাজের বিভিন্ন স্তরে।সকলেই প্রশ্ন তুলেছেন, এমনভাবে দেওয়ালে লিখে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা কী ছিল? একটা বিষয় তো একেবারে স্পষ্ট যে তাঁরা সংবাদ মাধ্যমকে বিয়ের অনুষ্ঠানে ডাকতে পারবেন না, একথা প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে এমন অদ্ভুত পোস্টের পিছনে যুক্তি কী তাঁদের?

এই সময় ডিজিটালে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে, কাঞ্চন-শ্রীময়ীর মতে, গোটা বিষয়টাকে তাঁরা ভীষণভাবে ব্যক্তিগত রাখতে চেয়েছিলেন। কোনওভাবেই সমাজের কাউকেই অপমান করা তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল না, তবে মিডিয়াকে আমন্ত্রণ না জানানোর পিছনে তাঁদের কারণ ব্যাখ্যাও করেছেন তাঁরা। বাড়ি ভর্তি লোকজন, আত্মীয়স্বজন। সেখানে মিডিয়া কাউকে প্রশ্ন করতেই পারে কাঞ্চন মল্লিক তৃতীয়বার বিয়ে করছেন কী বলবেন?

এই ধরনের নানা প্রশ্নে বিচলিত হতে পারে তাঁদের কাছের মানুষেরা। তবে কি ‘তৃতীয়বার’ বিয়ে এই শব্দে তাঁদের এত আপত্তি? কাঞ্চনের কথায়, ‘না এটা তো সত্যি যে তৃতীয় বিয়ে করেছি। আমি বা আমরা কখনওই সেসব লুকিয়েও যাইনি। তাই একটা কথা বলতে পারি বাড়ির লোকগুলো এসবে অভ্যস্ত নয়। ওদের ছেড়ে দিলেই ভালো হয়।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য আসতে থাকে তাঁদের ঘিরে। কাঞ্চন বলেন, ‘এক একজন এমন প্রশ্নও করেছেন, এই কাঞ্চন তুই এত রোগা পারবি তো?’ যা শুনে রীতিমতো তাজ্জব সকলেই। এত ধরনের খারাপ কথা শুনতে হয়েছে যা কোনওদিন শোনেননি বললেন শ্রীময়ী-কাঞ্চন।

একের পর এক নানা ঝড় নিয়ে তাঁদের বক্তব্য, মানুষ ভুল বুঝেছেন এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। নানা ধরনের সমালোচনা তো হচ্ছে তবে যে সময় মানুষ সম্পর্কে স্বীকৃতি দিতে ভয় পায়, তখন বিয়ে করার পরেও এমন নানা কাটাছেঁড়া, আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে ব্যথিত তাঁরা। বললেন, সাধুবাদ পাওয়ার জায়গায় যে এভাবে কটাক্ষের স্বীকার হতে হবে, তা ভাবতেও পারিনি।